কারও ধর্মানুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে- লেখালেখির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ধর্ম নিয়ে লেখালেখির জন্য ইসলামী চরমপন্থিদের হুমকি-হামলার প্রেক্ষাপটে রোববার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার প্রধানের এই পরামর্শ আসে।
এই বক্তব্যে ব্লগারদের উপর হামলাকারীরা উৎসাহিত হবে কি না- এক সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীকে।
উত্তরে তিনি বলেন, “আমার কথায় হত্যাকারীরা উৎসাহিত হবে না। আমরা হত্যাকারীদের হত্যাকারী হিসাবেই দেখব।…তাদের ধরব, বিচার করব।”
নেদারল্যান্ডস সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন আসে, তিনিও তার উত্তর দেন।
এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার ধর্ম নিয়ে কেউ যদি বিকৃত লেখা লেখে। নোংরামী করে, নোংরামী লেখা লেখে। সেটা আমার সেন্টিমেন্টে লাগবে।
“আমি একটা ধর্মে বিশ্বাস করি, আমি আল্লাহ নবী করিম (স.)কে মানি। হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে বললে তাদের লাগবে। খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে বললে তাদের লাগবে।”
লেখালেখির ক্ষেত্রে সরকারের কোনো বিধি-নিষেধ না থাকার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “লেখালেখি বন্ধ করতে বলা হয়নি, লেখালেখিতে সতর্ক করা হয়নি। লেখালেখিতে সতর্ক হওয়া আর কিছুই না, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে যেন লেখালেখি হয়।
“আমি যদি সেকুলারিজমে বিশ্বাস করি, তাহলে আমি নিজের ধর্মকে সম্মান করব, অন্যের ধর্মকেও সম্মান করব।”
‘সেকুলারিজম মানে ধর্মহীনতা’ নয় বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ যদি এথিস্ট হয়, সেটা তার বিষয়। তার সে বিশ্বাস নিয়ে সে থাকবে। কিন্ত, অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারবে না। এটাই হচ্ছে মানবিক গুণ।
“কিন্তু, বিকৃত করে লেখা কোনো মানবিক গুণ না। সেটা বিকৃত। মনে হচ্ছে যেন, বিকৃত লালসা চরিতার্থ…। সেগুলো বন্ধ করতে হবে। লিখতে বন্ধ করতে বলা হয়নি।”